ঘুমাতে যাওয়ার আগে কিছু আমল সমূহ
ঘুমানোর সময় ১০টি সুন্নত-
আমল করার চেষ্টা করি "!!
☛০১. ঘরের দরজা আল্লাহর
নামে (বিসমিল্লাহ বলে)
বন্ধ করা।
বুখারীঃ- ৫৬২৩
☛ ০২. শোয়ার আগে বিছানা
ঝেড়ে নেয়া।
বুখারীঃ- ৬৩২০
☛০৩. ডান কাত হয়ে শোয়া।
বুখারীঃ- ৬৩১৫
☛০৪. শরীরের নাপাক স্থান
ধুয়ে অযু করে নেয়া।
বুখারীঃ- ২৮৮
☛০৫. সাধারণত সতর খোলা
অবস্থায় না শোয়া।
তিরমিযীঃ- ২৭৬৯
☛০৬. বিনা কারণে উপুড় হয়ে
না শোয়া।
তিরমিযীঃ- ২৭৬৮
☛০৭. ঘুমানোর সময় আগুনের
বাতি জ্বালিয়ে না রাখা।
তিরমিযীঃ- ১৮১৩
☛০৮. দুঃস্বপ্ন দেখলে পার্শ্ব
পরিবর্তন করে শোয়া।
মুসলিমঃ- ৫৯০১
☛০৯. দুঃস্বপ্ন দেখলে শয়তান
থেকে আল্লাহর কাছে আশ্রয়
চাওয়া - আঊযুবিল্লাহিমিন
াশ শাইত্বনির রজিম,
তিনবার বলা।
☛১০. দুঃস্বপ্ন কাউকে না
বলা। মুসলিমঃ- ৫৯০২।
ঘুমানোর পূর্বে কিছু আমল
সমূহ:
[যারা রাতে ঘুমে ভয় পান
বা দুঃস্বপ্ন দেখেন তাদের
জন্য এই আমলগুলো খুব
কার্যকরী]
১) ঘুমানোর দোয়া পড়া:
আল্লাহুম্মা বিসমিকা আ'মুতু
ওয়া আহইয়া')
অর্থঃ হে আল্লাহ! আমি
তোমার নামে মরি আবার
তোমার নামেই বাঁচি।
(বুখারী ৬৩১৪, মুসলিম ৭০৬২)।
২)ঘুমানোর আগে সুরা ইখলাস,
সুরা ফালাক্ব ও সুরা নাস
একবার করে পড়ে দুই হাতে ফুঁ
দিয়ে মাথা থেকে দেহ
পর্যন্ত যত দূর যায় বুলাবে।
তারপর ডান হাত ও বাম হাত
বুলাবে। যেকোন (ক্ষতিকর)
জিনিস থেকে নিরাপত্তার
জন্য এটা যথেষ্ট হবে। (মুসলিম
৪/১৭২৩, তিরমিযী ৩৫৭৫, আবূ
দাউদ ৫০৮২, নাসায়ী ৫৪২৮,
৫৪২৯)।
৩। ৩৩ বার ‘সুবহানাল্লাহ’
৩৩ বার 'আলহামদুলিল্লাহ'
এবং ৩৪ বার আল্লাহু আকবার
পাঠ করলে মীযানে এক
হাজার সওয়াব সংযােজিত
হয়। (সহীহ তারগীব
৬০৩ ,সহিহ মুসলিম, ৬৮০৮)।
৪) সূরা কাফিরূন পাঠ করা,
এতে শির্ক থেকে বেঁচে
থাকা যায় । (সহীহ তারগীব
৬০২ নং)।
৫। কুরআনের সবচেয়ে বড়
মর্যাদাপূর্ণ আয়াত 'আয়াতুল
কুরসী' । যে ব্যক্তি ঘুমানোর
সময় ইহা পাঠ করবে তার জন্য
আল্লাহর পক্ষ থেকে একজন
রক্ষক নিযুক্ত করা হবে এবং
সকাল পর্যন্ত তার কাছে
শয়তান আসতে পারবে না।
(বুখারী হা/২৩১১)। শয়ন করে
‘আয়াতুল কুরসী পাঠ করলে
আল্লাহর তরফ থেকে এক
রক্ষী নিযুক্ত হয়ে যায় এবং
শয়তান ঐ পাঠকারীর
নিকটবর্তী হতে পারে না।
(বুঃ ৪/৪৮৭)।
৬।যে ব্যক্তি রাতে 'সূরা
বাকারা'র শেষ ২ টি আয়াত
পাঠ করবে , তার জন্য সে দুটি
যথেষ্ট হবে । সে রাতে
অপ্রীতিকর জিনিসের
মোকাবেলায় যথেষ্ট হবে
বা তাহাজ্জুদের ছালাত
থেকে যথেষ্ট হবে ।
(রিয়াযুসস্বলেহীন হা/১০২৪ ,
বুখারী হা/৪০০৮)। সূরা
বাক্বারার শেষ দুটি আয়াত
পাঠ করলে সকল প্রকার
নিরাপত্তার জন্য যথেষ্ট।
(বুখারী ৯/৯৪, মুসলিম, ১৫৫৪)।
৭।রাতে সুরা মুলক পড়া। 'সূরা
মুলক' তার পাঠকারীর জন্য
সুপারিশ করবে এবং
শেষাবধি পাঠক কে ক্ষমা
করে দেওয়া হবে ।
(আবু দাউদ হা/১৪০০ , ইবনু
মাজাহ হা/৩৭৮৬) ।
৮।তওবা/ক্ষমা চেয়ে
নেওয়াঃ
সাইয়েদুল ইস্তেগফার/
ক্ষমা প্রার্থনার শ্রেষ্ঠ
দোয়া
মূল আরবীঃ
َﺖْﻧَﺃ ﺎَّﻟِﺇ َﻪَﻟِﺇ ﺎَﻟ ﻲِّﺑَﺭ َﺖْﻧَﺃ َّﻢُﻬَّﻠﻟﺍ
ﻰَﻠَﻋ ﺎَﻧَﺃَﻭ َﻙُﺪْﺒَﻋ ﺎَﻧَﺃَﻭ ﻲِﻨَﺘْﻘَﻠَﺧ
َﻚِﺑ ُﺫﻮُﻋَﺃ ُﺖْﻌَﻄَﺘْﺳﺍ ﺎَﻣ َﻙِﺪْﻋَﻭَﻭ َﻙِﺪْﻬَﻋ
َﻚِﺘَﻤْﻌِﻨِﺑ َﻚَﻟ ُﺀﻮُﺑَﺃ ُﺖْﻌَﻨَﺻ ﺎَﻣ ِّﺮَﺷ ْﻦِﻣ
ﻲِﻟ ْﺮِﻔْﻏﺎَﻓ ﻲِﺒْﻧَﺬِﺑ َﻚَﻟ ُﺀﻮُﺑَﺃَﻭ َّﻲَﻠَﻋ
َﺖْﻧَﺃ ﺎَّﻟِﺇ َﺏﻮُﻧُّﺬﻟﺍ ُﺮِﻔْﻐَﻳ ﺎَﻟ ُﻪَّﻧِﺈَﻓ
উচ্চারণঃ
আল্লহুম্মা আংতা রব্বী, লা-
ইলাহা ইল্লা আংতা
খলাক্কতানী, ওয়া আনা
আ’বদুকা ওয়া আনা আ’লা
আহদিকা ওয়া ওয়া'দিকা
মাসতাত্বো'তু,, আ’উযু বিকা
মিং শাররি মা- ছনা'তু,
আবূউ লাকা বিনি’মাতিকা
আ’লাইয়্যা, ওয়া আবূউ লাকা
বিযামবী। ফাগফিরলি ফা-
ইন্নাহু লা-ইয়াগফিরুয যুনূবা
ইল্লা- আংতা।
অনুবাদঃ
হে আল্লাহ তুমিই আমার
প্রতিপালক। তুমি ছাড়া
কোন ইলাহ নেই। তুমিই
আমাকে সৃষ্টি করেছ। আমি
তোমারই গোলাম। আমি
যথাসাধ্য তোমার সঙ্গে
প্রতিজ্ঞা ও অঙ্গীকারের
উপর আছি। আমি আমার সব
কৃতকর্মের কুফল থেকে
তোমার কাছে পানাহ
চাচ্ছি। তুমি আমার প্রতি
তোমার যে নিয়ামত দিয়েছ
তা স্বীকার করছি। আর
আমার কৃত গুনাহের কথাও
স্বীকার করছি। তুমি
আমাকে মাফ করে দাও।
কারন তুমি ছাড়া কেউ গুনাহ
ক্ষমা করতে পারবে না।
ফযিলতঃ
পূর্ন বিশ্বাসের সাথে কেও
এই দোয়া সকালে পড়ে
রাতের আগে মারা গেলে
অথবা রাতে পড়ে সকালের
আগে মারা গেলে সে
জান্নাতে যাবে।
[বুখারী-৬৩০৬]
(বুখারী ৫/২৩২৩,নং ৫৯৪৭)
আল্লাহ আমাদের প্রতিদিন এ
আমল গুলো করার তাওফিক
দিন !
আমীন !
No comments