কেমন হবে কিয়ামত দিবস
হাশরের ময়দান। বিচার হবে
আজ। ঘর্মাক্ত জ্বীন ও
ইনসান। উলঙ্গ। চোখেমুখে
আতংক। চিৎকার
চেঁচামেচি। এদিক সেদিক
ছোটাছুটি। পাশাপাশি তবুও
কেউ কাউকে চেনে না
যেন। সত্য যে আজ সম্মুখসমরে।
কে দিবে আমাকে সহায়?
কে বাঁচাবে আমায়? কে
আমাকে টাকার বিনিময়ে
উদ্ধার করবে আজ? আরে, ঐ
তো আমার নেতা। কিন্তু
তার অবস্থা আজ এমন কেনো?
এতো অন্ধকার কোত্থেকে
এলো তার চোখেমুখে?
কোথায় তার সেই শক্তি,
পেশী, পাওয়ার,পেটুয়া
বাহিনী, প্রভাব
প্রতিপত্তি?
আরে, ঐ তো মাসজিদের
ইমাম সাহেব। মাদ্রাসার
ছাত্ররা। ওদেরকে না
পিটিয়ে লাশ
বানিয়েছিলাম। জঙ্গী
বলেছিলাম। জঙ্গীর দল
এখানে কী করছে? ওরা এতো
হাসছেই বা কেনো? এতো
খুশি কীসের? ওদের মাঝে
লম্বা গর্দানের একজনকে
আযানও দিতে দেখা
যাচ্ছে। মুয়াজ্জ্বিন নিশ্চয়ই!
ঐ তো কুরআন তিলাওয়াত
করতে করতে আসছে একদল
কুরআনের হাফেজ।
"লাব্বাইক আল্লাহুম্মা
লাব্বাইক" বলে হাজীরাও
আসছে। ঐ যে ওযুর যায়গাসমূহ
থেকে নূর ছড়িয়ে যাচ্ছে
ওদের।
আজ কী তাহলে সেইদিন
যেদিন কেউ কারো
উপকারে আসবে না? কেউ
সুপারিশ করবেনা আল্লাহর
অনুমতি ছাড়া। আজ কী
তাহলে আমার সর্বনাশের
দিন?
___
এই তো আর ক'টা দিন। সবর,
প্রতিবাদ কিংবা জুলমের।
এরপর ফায়সালা। চূড়ান্ত
হিসাব। আলো আঁধারের
প্রতিযোগিতার ফলাফল।
কেউ হাসবে আর কেউ
কাঁদবে।। যার যার হিসাব
তাকে তাকে বুঝিয়ে
দেওয়া হবে সেদিন। এই তো
আর ক'টা দিন।
ইমাম আহমদ (রহ.) এর ছিলো
দুঃখ কষ্টের জীবন। তাঁর
ছেলে একদিন তাঁকে
জিজ্ঞেস করেছিলেন,
"আব্বা, আমাদের শান্তি
আসবে কবে?" তিনি
বলেছিলেন, "যেদিন
জান্নাতে প্রথম পা রাখবো
সেদিন।"
No comments